পদ্মায় ফের ভাঙন শুরু, আটকে আছে আধুনিকায়নের কাজ
বাংলাদেশ

পদ্মায় ফের ভাঙন শুরু, আটকে আছে আধুনিকায়নের কাজ

প্রতি বছরের মতো এবারও বন্যার আগেই পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে ভাঙন তীব্র হচ্ছে। তবে নৌ-বন্দর আধুনিকায়নে কাজ হবে বলে অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভাঙনরোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এদিকে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-বন্দরের আধুনিকায়ন প্রকল্পের কাজ ফাইল ও বুয়েটের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আটকে আছে। আর সেই কাজের অপেক্ষায়  কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় নদীপাড়ের অসংখ্য মানুষের দিন কাটছে ভাঙন আতঙ্কে।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, দেশের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নৌ-বন্দর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। এ নৌ-পথের দৌলতদিয়ায় চার কিলোমিটার এবং পাটুরিয়ায় দুই কিলোমিটার স্থায়ীভাবে আধুনিকায়ন কাজের জন্য বিআইডব্লিউটিএ ৬৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসে কাজটি করার দায়ভার দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করতে না পারা এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে এ কাজের বর্তমান ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ১২০০ কোটি টাকা। যে কারণে নকশার বিশ্লেষণ করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

সরেজমিনে ঘাট ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চঘাট এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পদ্মাপাড়ের শত শত মানুষ। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আড়াইশ’ বসতবাড়িসহ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট, ফেরিঘাটসহ বহু স্থাপনা।

গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা চান্দু মোল্লা বলেন, ‘পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে নদীগর্ভে চলে গেছে আমাদের সব জমি। সরকার ভাঙনরোধে কাজ করলে হয়তো বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটুকু টিকে থাকতো। শুনেছি বড় প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। কিন্তু তার কোনও আভাস পাচ্ছি না।’

ক্ষোভের সঙ্গে এলাকার আরও অনেকে বলেন, ‘শুনেছি নদী শাসনের স্থায়ী কাজ হবে, তার তো আলামতই দেখছি না। বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের স্বার্থ হাসিলে পানি বৃদ্ধির সময় ভাঙন শুরু হলে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। সারা বছর তাদের আর কোনও খোঁজ থাকে না।’

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটের চার কিলোমিটার এলাকার জন্য ৫১০ কোটি টাকা এবং পাটুরিয়া ঘাটের দুই কিলোমিটার এলাকার জন্য ১৭০ কোটি টাকাসহ ৬৮০ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে গত বছরের জানুয়ারিতে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও নকশার পরিবর্তনের কারণে নতুন করে আবার সাড়ে ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে, যা বুয়েটে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ বছরের ভাঙন রোধেও পুনরায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে।’ 

তবে জিও ব্যাগ ফেলে স্থায়ী কোনও সমাধান হবে না বলে মনে করছেন তারা।

 

Source link

Related posts

সবজির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল গ্রামের’ কৃষকরা

News Desk

পেঁয়াজ নিয়ে নতুন করে অস্থিরতা

News Desk

সৈয়দপুরে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের একাত্মতা

News Desk

Leave a Comment