পদ্মা সেতুকে শেখ হাসিনার সততার সোনালী সকাল বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সামর্থ্যের স্মারক। এই সেতুর কারণে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। বাঁচবে সময় ও অর্থ। আগে পদ্মা পার হতে যেখানে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগতো, এখন ৬ থেকে ৭ মিনিটের মধ্যে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলে যাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে নিজ বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ৩০ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন ছিল অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। তবে শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। পদ্মা সেতু হওয়ায় মানুষ খুশি। আর তারা (বিএনপি) অপবাদ দেয়। দেশের মানুষ ভালো আছে শুনলে বিএনপির সবার মন খারাপ হয়। যারা অপবাদ দেয় তাদের বিশ্বব্যাংকের দিকে তাকাতে বলি। বিশ্বব্যাংক এখন স্বীকার করেছে, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে গিয়ে তারা ভুল করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ সময় আরও বলেন, আন্দোলন দেখতে দেখতে ১৩ বছর গেলো। আসলে আন্দোলন হবে কোন বছর? আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, বিএনপির এখন পদ্মা সেতু দেখে গাত্রদাহ হয়। আজ বিআরটি হয়ে যাচ্ছে, মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে। সামনে ভোট, এ অবস্থায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ-বিরোধীদের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
দেশের বাজারের অস্থিতিশীল অবস্থা নিয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী বলেন, আজ ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব সারা দুনিয়ায় পড়েছে। দৈনন্দিন পণ্য, জ্বালানিসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ কোনও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়, প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে।
এ সময় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ গাজীপুর আওয়ামী লীগ দেখতে চান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা কাউন্সিলে নয়া নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। আমি, আমাদের ড. আব্দুর রাজ্জাক, আমাদের মির্জা আজমসহ নেতৃবৃন্দ আছেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে আশা করি একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিতে পারবো।
ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় দলে প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপিসহ উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন উদ্বোধন করেন।
পরে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ ময়েজ উদ্দিন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এবং অ্যাডভোকেট রহমত আলীসহ প্রয়াত সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।