যেকোনও উৎসবে পর্যটকদের ঢল নামে পাহাড়ে। ক্লান্তি-অবসাদ দূর করতে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাগড়াছড়ি ভ্রমণে আসেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। এবারের ঈদেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
ঈদুল আজহার পরদিন থেকে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। এতে চাঙা হয়ে উঠেছে পর্যটননির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য। পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ রাখতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ঢাকার নবাবপুর হতে আসা ফায়সাল কবির বলেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ি জনপদ মানেই বৈচিত্র্যের বসতবাড়ি। পাহাড়-ঝর্ণা আর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারণে পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণীয় খাগড়াছড়ি। এসে ভালো লাগছে।’
কুমিল্লার লাকসামের হাসনাহেনা বলেন, ‘পরিবারের লোকজনসহ বেড়াতে এসেছি। ঈদের ছুটিতে আমাদের মতো অনেকেই বেড়াতে এসেছেন।’
নওগাঁ থেকে আসা ফারজানা লাবনী বলেন, ‘খাগড়াছড়ির নান্দনিকতাকে এবার আরও বেশি বর্ণিল এবং আরও বেশি নয়নাভিরাম করে তুলেছে আলুটিলা পর্যটন পার্ক। সবুজ পাহাড় আর রহস্যে ঘেরা সুড়ঙ্গ, দুয়ে মিলে এখানে যেনও অপূর্ব সুন্দর মায়াজাল। আর জেলা পরিষদ পার্কের ঝুলন্ত ব্রিজ পর্যটকদের আনন্দ উপভোগে দিয়েছে পূর্ণতা।’
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার প্রকোপে গেলো দুই বছর বেশ লোকসান গুনতে হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। তবে আশার কথা হলো, আগামী কয়েকদিন বেশ ভালো বুকিং রয়েছে। খাগড়াছড়িতে পর্যটকদের সংখ্যা আরও বাড়বে, আর এতে করে পুরনো ক্ষতি কিছুটা হলেও সারিয়ে উঠতে পারবো।’
খাগড়াছড়ি টুরিস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আবুল কাসেম বলেন, ‘পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় রয়েছে খাগড়াছড়িতে। কাজ করছেন টুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। ইউনিফর্ম ছাড়াও সাদা পোশাকে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের মোবাইল ফোন নম্বর রয়েছে। কোনও সমস্যা হলে দ্রুত সাড়া দেবে পুলিশ।’