জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের উচনা সোনাতলা সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধা উপেক্ষা করে আবারও কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বেড়া না দেওয়ার জন্য পতাকা বৈঠক হয়েছে।
শুক্রবার (১৮অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাটখোলা ক্যাম্পের আওতাধীন উচনা সোনাতলা সীমান্ত এলাকায় ২৮০/৪ এস পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সন্ধ্যায় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সীমানার ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া দেওয়ার কাজ করা যাবে না। তবে সীমান্তের সোনাতলা এলাকার মেইন পিলার ২৮০/৪ এস নম্বরের সাব পিলার পর্যন্ত অংশে আনুমানিক ২০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করে বিএসএফের সদস্যরা। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে বিজিবি গিয়ে বাধা দেয়। এরপর কাজ বন্ধ রাখেন বিএসএফের সদস্যরা।
জয়পুরহাট ২০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের হাটখোলা সীমান্তের উচনা সোনাতলা এলাকায় বিএসএফ আবারও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, মেইন পিলার নং ২৮০/৪ এস এর সাব পিলার আনুমানিক ২০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ২০ বিজিবির আওতাধীন হাটখোলা বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আনিছুর রহমান বিএসএফের গয়েশপুর ক্যাম্প কমান্ডার ইন্সপেক্টর উত্তম কুমারকে সীমান্তবর্তী এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়ে বাধা প্রদান করেন। ওই এলাকায় পাঁচ ফুট উঁচু লোহার অ্যাঙ্গেল দ্বারা তিন লাইন কাঁটাতারের বেড়া (আনুমানিক ৩০ গজ) নির্মাণ করার পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবি বিএসএফকে আবারও বাধা প্রদান করে পতাকা বৈঠক করেছে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা কাজ বন্ধ রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। বর্তমানে সীমান্ত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে হাটখোলা বিওপির ঘোনাপাড়া ২৮০/৩-৭ ও ২৮১ নম্বরের সাব পিলার ৩৭ ও ৩৮ নম্বরের নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য বিএসএফ কাজ শুরু করে। বিষয়টি নজরে এলে বাধা দেয় বিজিবি। এরপর কাজ বন্ধ রাখেন বিএসএফের সদস্যরা- এ নিয়ে পতাকা বৈঠকও হয়েছে। তাতেও লাভ হচ্ছে না। শুক্রবার আবার সেখানে কাজ শুরু করে বিএসএফ। পরে বিজিবি বাধা দিয়ে বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠক করেছে।
পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও পরপর বিএসএফের এমন ঘটনায় সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।