কক্সবাজারের টেকনাফে নির্বাচনি পোস্টার লাগিয়ে পাচারকালে এক লাখ ইয়াবাসহ রবিউল আলম নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি বাস স্টেশন ফোর স্টোক সিএনজি ও মাহিন্দ্রা চালক সমবায় নির্বাচনের মেম্বার প্রার্থী ছিল। এ সময় তার সহযোগী সিএনজি চালককেও আটক করা হয়।
আটক রবিউল আলম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বরইতলী এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং সিএনজি চালক নুরুল ইসলাম (২২) একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
রবিউল আলম নির্বাচনি পোস্টার লাগিয়ে সুকৌশলে সিএনজিতে করে মাদক পাচারকালে এক লাখ পিস ইয়াবা ও চালকসহ দুই পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, টেকনাফ বিচ রোড দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান পাচার হতে পারে। এমন সংবাদে থানা পুলিশের একটি টিম পৌরসভার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর অবস্থান করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই এলাকা দিয়ে নির্বাচনি পোস্টার লাগানো একটি সিএনজি আসতে দেখলে থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। না থামিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সিএনজিটি ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে সেটি তল্লাশি করে একটি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে এক লাখ পিস ইয়াবাসহ মেম্বার প্রার্থী ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম জানান, ইয়াবাসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিএনজি চালক বলেন, আগামী ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য টেকনাফ বাস স্টেশন ফোর স্টোক সিএনজি ও মাহিন্দ্রা চালক সমবায় নির্বাচনকে সামনে রেখে মেম্বার প্রার্থী রবিউল আলম প্রকাশ গণি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে সিএনজি চালিয়ে মাদক পাচার করছিল। তবে সে আগে থেকে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল অভিযোগ স্থানীয়দের।