দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি ও ঘাট স্বল্পতার কারণে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় ৬শ’ থেকে ৮শ’ যানবাহন। ফেরির নাগাল পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
অপরদিকে পদ্মা নদীতে বর্ষা শুরুর আগে থেকেই পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে দৌলতদিয়ায় ৫ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাটের সংযোগ সড়কসহ পন্টুনের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে ডুবে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাট কর্তৃপক্ষ ওই দুই ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখেছে।
সরেজমিন শুক্রবার (২০ মে) সকালে ঘাট এলাকায় দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনন্ত ৬শ’ থেকে ৮শ’ যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এরমধ্যে দুইশ’র বেশি রয়েছে যাত্রীবাহী বাস। মধ্যরাতে ঘাটে আসা বাসগুলো এখন পর্যন্ত ফেরিতে উঠতে পারেনি। দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। যানজটে আটকা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানগুলো দুই দিন ধরে অপেক্ষায় আছে।
ঘাট-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরিঘাট রয়েছে মোট সাতটি। এর মধ্যে ১ ও ২ নম্বর ফেরিঘাট দীর্ঘদিন ধরে ও ৫ ও ৪ নম্বর ঘাট শুক্রবার থেকে বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে ৩, ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাট সচল আছে। মাত্র তিনটি ঘাট দিয়ে পারাপার চালু থাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।
বেনাপোল বর্ডার থেকে মেশিনারিজ নিয়ে আসা ঢাকাগামী ট্রাকের চালক রাজা বিশ্বাস বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঘাটে এসে আটকা পড়ি। ঘাটে ফেরি কম বলে আজও নদী পার হতে পারলাম না। মনে হচ্ছে নদী পার হতে বিকাল হয়ে যাবে।
সিরিয়ালে আটকে থাকা ডিডি পরিবহনের যাত্রী সুমন মাহমুদ বলেন, রাত ১২টার দিকে এসে ঘাটে আটকা পড়েছি। ৮ ঘণ্টা পার হলেও ফেরির দেখা পাইনি। ভেবেছিলাম শুক্রবার ঘাটে যানজট থাকবে না। এসে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে গেলাম।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, পদ্মার পানি বেড়ে যাওয়ায় ৫ ও ৪ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে অধিকাংশ তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাট দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে বিকালের মধ্যেই চাপ কমে আসবে। বর্তমানে দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ঘাট সচল রয়েছে এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮ টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান তিনি।