নীলফামারীর পাসপোর্ট কার্যালয়ে দুদকের অভিযানে নগদ ৫৯ হাজার ১৩৭ টাকাসহ রমি কুমার দাস (২৭) নামে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক এ কে এম নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে।
পরে দলটি বিকাল ৩টার দিকে জব্দ করা টাকা এবং আটক রমি কুমার দাসকে পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেনের জিম্মায় দিয়ে অভিযান সমাপ্ত করে। এ সময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট সংক্রান্ত ২২টি কাগজপত্র ও চারটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক বলেন, এটি অবৈধ অর্থ, একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাছে এত টাকা থাকার কথা নয়।
অপর দিকে আটক রমি বলেন, আমাদের কার্যালয়ের জেনারেটর মেরামতের জন্য সোনালী ব্যাংক থেকে সোমবার সকালে চেকের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ৪৫৪ টাকা উত্তোলন করি। আর বাকি তিন হাজার ৬৮৩ টাকা বাড়ি থেকে পাঠিয়েছে। ব্যাংক থেকে কার্যালয়ে ফেরার সঙ্গেই দুদক তল্লাশি করে।
এ কে এম নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দুদকের চার সদস্যের ওই দল নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে এসে গোপনে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করে। পাসপোর্ট করতে আসা মানুষজন তাদের হয়রানির কথা বলেন। এরপর বেলা ১১টার দিকে অভিযানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী রমিকে আটক করে তার কাছ থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ টাকা জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাছে এত টাকা থাকার কথা নয়, তাকে আমরা আটক করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের জিম্মায় রেখেছি। এ বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়কে জানানো হবে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নীলফামারী আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম মোতাহার হোসেন বলেন, দুদকের টিম সকাল ১১টার দিকে আমাদের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় কার্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে পরিচ্ছন্নতাকর্মী রমি কুমার দাসকে আটক করে। কেউ অপরাধ করলে তার দায় তাকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, রমি কুমার দাস আউটসের্সিংয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেন। তার কম্পিউটার জানা আছে। জনবল সংকটে তাকে বিভিন্ন সময়ে কাজে লাগানো হয়।