রাঙামাটিতে পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অনেক বাড়িঘর ডুবে গেছে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানিতে তলিয়ে আছে। যোগাযোগের জন্য একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদে পানি প্রবেশ করেছে। কৃষি জমি ফসল নষ্ট হয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে বন্যাদুর্গতরা।
স্থানীয়রা বলেন, বারোবিন্দু এলাকায় একটি বাঁধ আছে, এটি ভেঙে যাওয়ায় দ্রুত পানি পৌরসভায় ঢুকে পড়ে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। বার বার বলা হলেও প্রশাসন নজর না দেওয়ায় এই বছরে চার বার বন্যায় তলিয়ে যায় বাঘাইছড়ি।
স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে রাতে খাবার রান্না করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবার বিতরণ করছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসন থেকে ২৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত এক হাজার ৬৫৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওমর আলী বলেন, আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে বন্যার্ত মানুষের মাঝে রান্না করে খাবার বিতরণ করি। যতদিন পানি থাকবে ততদিন আমার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করবো।