পটুয়াখালীর সার্কিট হাউসের পুকুরে পদ্মা সেতুর আদালে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বানানো সেতুটি দেখতে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর নানান রঙের বেলুন উড়িয়ে এই সেতুরও উদ্বোধন করেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সেতুতে উঠে পড়েন অনেক মানুষ। পুলিশ সদস্যরা সেতুতে ওঠা সবাইকে সরিয়ে দেন। পরে পুলিশ এ সেতুতে একসঙ্গে ২০ জন করে ওঠার সুযোগ দেন। তারা নেমে গেলে আরও ২০ জন ওঠেন। সেতুতে উঠে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন। অনেকে সেতুতে উঠে বৃষ্টিতে ভিজে আনন্দ-উল্লাস করেছেন। অনেকে তার প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলে দিনটিকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। সেতুতে ওঠতে না পেরে আবার অনেককে পুকুরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
গলাচিপা থেকে আসা মো. আল আমিন বলেন, ‘ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সরাসরি পদ্মা পাড়ে গিয়ে সেতু দেখতে পারিনি। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি এ সেতুতে ওঠার পর মনে হয়েছে সত্যিই পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে আছি। স্প্যান ও রেললাইন সবাই হুবহু পদ্মা সেতুর মতোই।’
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তিশা বলেন, ‘কোনও দিন পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে দেখতে পারবো কি না জানি না। কিন্তু পুকুরে কাঠ দিয়ে বানানো সেতুতে উঠে অনেক আনন্দ উল্লাস করেছি। বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলেছি, বেশ ভালো লাগছে। পদ্মা পাড়ে না গিয়ে পদ্মা সেতু দেখেতে পারবো কখনও ভাবিনি। এই উদ্যোগের জন্য জেলা প্রশাসককে ধন্যবাদ দিতেই হবে।’
এই সেতুর গেটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানান, সবাই একসঙ্গে সেতুতে উঠতে চাচ্ছেন। এতে আমরা বাধা দিচ্ছি। সেতুতে একসঙ্গে ৫০০ মানুষ উঠতে পারবে। কিন্তু এক হাজার উঠলে তো ভেঙে পড়বে।’
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে পটুয়াখালীর মানুষের কাছে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রম এই আয়োজন করা হয়েছে।’