দেশের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ নেতৃত্ব দেয় তৈরি পোশাক খাত। এ খাতের রফতানি প্রণোদনার সঙ্গে ১ শতাংশ হারে যে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়া হয়ে থাকে, তা প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্পখাতে বিদ্যমান বিভিন্ন রফতানি প্রণোদনার সঙ্গে অতিরিক্ত ১ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া শুরু হয়। এর ফলে পোশাকখাত বৈশ্বিক মহামারি সফলভাবে মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে আশানুরূপ রফতানি আয় অর্জন করে খাতটি। আগামী অর্থবছরেও ১ শতাংশ হারে অতিরিক্ত রফতানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাটের আগাম কর (এটি) ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের যন্ত্রপাতি বাণিজ্যিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে শুল্ক ১ শতাংশ হারে আমদানির সুযোগ দেয়া হয়েছে। হোম অ্যাপ্লায়েন্স সামগ্রী ও তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যকে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এয়ারকন্ডিশন, রেফ্রিজারেটর ও মোটরযান উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদনকারী শিল্পের জন্য ১০ বছরের জন্য করমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ৩ কোটি টাকার টার্নওভারে ন্যূনতম কর হার ০.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.২৫ শতাংশ করা হয়েছে।