Image default
বাংলাদেশ

পৌনে ২ ঘণ্টা আগেই বিএনপির সমাবেশ শুরু

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ২টা। তবে পৌনে দুই ঘণ্টা আগে সোয়া ১২টায় সমাবেশ শুরু হয়ে গেছে।

কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে খুলনা নগরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ শুরু হয়। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা নেছার ইমাম। মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর।

সমাবেশ মঞ্চের ঠিক মাঝখানে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে। চেয়ারটি সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। তোয়ালে দিয়ে ঢাকা চেয়ারের পাশে বসবেন সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আরও পড়ুন: সমাবেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল, উদ্বেগে দোকান খুলছেন না ব্যবসায়ীরা

দলটির নেতা-কর্মীরা জানান, বাস ও লঞ্চের পর শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাতে খুলনা শহরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী খেয়াঘাটগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও বাধা পেরিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরা। রাত থেকে বেশিরভাগ নেতা-কর্মী ট্রেনে ও ট্রলারে আসছেন। গণসমাবেশে যোগ দিতে রাতেই খুলনায় পৌঁছান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। দুপুর ১২টার মধ্যে লোকারণ্য হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল খুলনা নগরের ডাকবাংলো ও ফেরিঘাট মোড়ের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংক চত্বর।

খুলনা
সমাবেশ মঞ্চের ঠিক মাঝখানে খালেদা জিয়ার জন্য একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছে
শহরের কেডিএ এভিনিউ, সাত রাস্তা, রয়েল মোড়, ময়লাপোতা মোড়, শান্তিধাম এলাকা, বেনিবাবু রোড, স্যার ইকবাল রোড, আহসান আহমেদ রোড, নিউ মার্কেট, জোড়া গেট হয়ে নুর নগর এলাকাও লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। যে যেভাবে পারেন সেভাবে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘পথে পথে নেতা-কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আটক করা হচ্ছে। ট্রেনে যারা সমাবেশে এসেছেন তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। একটি সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ও পুলিশের এমন তাণ্ডব খুলনাবাসী কখনও দেখেনি। হামলা করে, ধরে-পাকড় অভিযান চালিয়ে সমাবেশ ঠেকানো যাবে না। শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশের একদিন আগেই নেতা-কর্মীরা খুলনায় প্রবেশ করেছেন। দূর-দূরান্ত থেকে আজও আসছেন। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় প্রায় সব নেতা খুলনায় পৌঁছেছেন।’

আরও পড়ুন: রাত থেকে সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা

খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, আজকের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সমাবেশের সময় ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া সমাবেশের শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করছেন ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ‘শহরের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। প্রতিটি পয়েন্ট ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই নয়, সামগ্রিকভাবে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। নগরবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনীয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সব বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ও টহলে রয়েছেন।’

উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতা-কর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেয় বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের পর আজ তৃতীয় গণসমাবেশ হচ্ছে খুলনায়।

Related posts

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করেননি, আমি তার সাক্ষী: ড. অনুপম সেন

News Desk

শেখ হাসিনা আমাদের আশ্রয় দিছে, আল্লাহ তাকে দিক

News Desk

অপরাধ করলে আইন আছে, গুলি করে মারা হবে কেন?

News Desk

Leave a Comment