Image default
বাংলাদেশ

প্রথম বিসিএসে প্রথম ফাইজুল, হতে চান মানবিক পুলিশ

৪০তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন কাজী ফাইজুল করীম। এটি তার প্রথম বিসিএস। প্রথম বিসিএসেই সফল হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এই শিক্ষার্থী।

কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুরে ফাইজুলের বাড়ি। কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। থাকেন রাজধানীর মিরপুরে। বাবা মো. আফতাব উদ্দিন ব্যবসায়ী। মা মীর জাহান বেগম অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। ফাইজুল ও তার স্ত্রী সুরাইয়া তামান্না প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকরি করেন। বাবার ইচ্ছা পূরণে বিসিএসে অংশ নেন। মা সাহস দিয়েছেন। স্ত্রী অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। প্রথম পছন্দ ছিল পুলিশ ক্যাডার, তা পেয়েছেন।

ফাইজুল জানিয়েছেন, গত বুধবার কর্মস্থল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিলেন। স্ত্রী তাকে জানান পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন। এরপর নিজে যাচাই করে নিশ্চিত হন। প্রথম বিসিএসে সফলতা দেখে অবাক হয়েছেন নিজেও।

বিসিএসের প্রস্তুতি

ফাইজুল করীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ হওয়ার পরপরই চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। টেকনিক্যাল সেক্টরে চাকরির প্রস্তুতির পাশাপাশি বিসিএসের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। বাবার ইচ্ছা পূরণে বিসিএসকেই লক্ষ্য হিসেবে স্থির করি। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে নিজেকে প্রতিনিয়ত তৈরি করেছি। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে প্রস্তুতির শুরতে বাংলা, ইংরেজি সাহিত্য, সাধারণ জ্ঞান ও বাংলাদেশ বিষয়াবলী পড়তে এবং মনে রাখতে অনেক সমস্যা হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়েছি। যেগুলো মনে রাখা কঠিন ছিল, সেগুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। রুটিন করে নিয়মমাফিক পড়াশোনার চেষ্টা করেছি। মূলত ধৈর্য ও দৃঢ়তার কারণে সফলতা পেয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন আমার পুরো মনোযোগ খাতায় ছিল। আশপাশে কোথায়, কি হচ্ছে সেদিকে মনোযোগ দিইনি। ফল পাওয়ার পর প্রথম কয়েক মিনিট স্তব্ধ ছিলাম। স্বাভাবিক হওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের ফলের কথা জানাই।’

যাদের অনুপ্রেরণায় সফলতা

ফাইজুল বলেন, ‘শুরু থেকেই পরিবারের সবার সমর্থন পেয়েছি। প্রস্তুতির শুরু থেকে বাবা-মা ও চাচা সাহস দিয়েছেন। চাকরির কারণে ভাইভার প্রস্তুতি নেওয়ার তেমন সময় পাইনি। তবে ভাইভার আগে স্ত্রীর অনুপ্রেরণা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। যদিও বিসিএস একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, আমার বিসিএস যাত্রায় সবার সমর্থন পেয়েছি সবসময়। শ্বশুরবাড়ির সবার সমর্থন পেয়েছি। এজন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’

তিনি বলেন, ‘আমি মানবিক পুলিশ হতে চাই। সংবিধান দেশের নাগরিকদের যে অধিকার দিয়েছে সে অধিকার যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে, সেজন্য সচেষ্ট থাকবো। পুলিশের সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণ। তাই পুলিশ-জনতার পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করবো।’

‘আমার বাবা ৭ম বিসিএসে পুলিশে নিয়োগ পেলেও যোগ দেননি। তবে আমাকে পুলিশে যোগ দেওয়ার প্রথম অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বাবাই। আমার বিভাগের শিক্ষক সাব্বির হাসান ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডার হন। তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।’ যোগ করেন ফাইজুল।

Source link

Related posts

আবার বাড়তে চলেছে তাপমাত্রা

News Desk

কান্না থামছে না শিক্ষক উৎপলের মায়ের 

News Desk

১০০ লিচু ১০০০ টাকা, তবু দুশ্চিন্তায় এই গ্রামের চাষিরা

News Desk

Leave a Comment