চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিয়ের আশ্বাসে এক প্রশিক্ষণার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষক কে এম হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তাকে তাকে দিনভর অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
অভিযুক্ত কে এম হাফিজুর রহমান আনসার ভিডিপির সীতাকুণ্ড উপজেলায় প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছে।
জানা গেছে, বুধবার ওই প্রশিক্ষণার্থী হাফিজুরকে বিয়ের কথা বললে দুই জনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা ওই আনসার প্রশিক্ষককে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ডার। বিকাল ৫টার দিকে ওই তরুণীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তরুণীর অভিযোগ, বিয়ে ও চাকরির আশ্বাসে প্রায় দেড় বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে হাফিজুর। বিয়ে করতে বললে নানাভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বুধবার দুপুরে এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে হাফিজকে মারতে চায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আনসার ভিডিপির উপজেলা কমান্ডার মুজিবুর রহমানের নির্দেশে কার্যালয়ের একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে আনসার ভিডিপির চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার আশরাফ হোসেন সিদ্দিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
এ বিষয়ে আশরাফ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি দুই জনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দুই জনে আলোচনা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে হাফিজের বিরুদ্ধে এই ঘটনার আগেও কিছু অভিযোগের কারণে আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সীতাকুণ্ড থানার এসআই মো. নাসির উদ্দীন ভুঁইয়া বলেন, ‘আনসার ভিডিপির এক প্রশিক্ষণার্থীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, বিয়ে ও চাকরির আশ্বাসে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল প্রশিক্ষক। বিষয়টি ভুক্তভোগী মৌখিকভাবে জানালেও থানায় অভিযোগ দিতে রাজি হননি।’