সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায় অবলম্বনের বিষয়ে সতর্ক করে মঙ্গলবার (২১ জুন) একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে অধিদফতর।
প্রাথমিকে সবচেয়ে বড় এ নিয়োগের তিন ধাপের লিখিত পরীক্ষা শেষে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা চলছে। তৃতীয় ধাপে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ৩ জুলাই থেকে।
অধিদফতরের মহাপরিচালক সোহেল আহমেদের (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা নেয়ার পর ইতোমধ্যে সব ধাপের ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম ধাপে লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ১২ জুন থেকে এবং দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের ১৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে। তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩ জুলাই থেকে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ অনুসরণপূর্বক সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। চূড়ান্ত ফলে প্রতিটি উপজেলা/শিক্ষা খানার জন্য নিয়োগযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ব্যতীত কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা/প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না। মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বরের মধ্যে ১০ নম্বর এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক শ্রেণির শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। অবশিষ্ট ১০ নম্বরের ওপর প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব, প্রকাশ ক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড যাচাইপূর্বক ইন্টারভিউ বোর্ড নম্বর দেবে।
উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ ফল প্রস্তুতের যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়। এক্ষেত্রে অবৈধ হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। তাই, দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।