করোনা মহামারীতে স্কুল বন্ধ থাকায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে সাপ্তাহিক ওয়ার্কশিট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকরাই প্রতি সপ্তাহে বাসায় বাসায় গিয়ে ওয়ার্কশিট দিয়ে আসবেন।
গতকাল সোমবার এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষাক্রম সদস্য ড. একেএম রিয়াজুল হাসান জানান, প্রাথমিকের পাঠ পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসছে। এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (ন্যাপ) কাজ করছে। আগে প্রতি সপ্তাহে একদিন ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও করোনা সংকটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী সপ্তাহে একদিন স্কুলশিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে ওয়ার্কশিট দেবেন। পরবর্তী সপ্তাহে তা জমা নিয়ে নতুন ওয়ার্কশিট দেবেন। প্রাথমিকের বইয়ের প্রতি অধ্যায় শেষে বা বইয়ের মধ্যে যে ওয়ার্কশিট দেওয়া আছে সেগুলো ফটোকপি করে অভিভাবকদের দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের যে ক্লাস্টার এবং সাব-ক্লাস্টার আছে, সে অনুযায়ী
প্রতিটি ক্লাস্টারের মধ্যে শিক্ষকরা তাদের ক্যাচমেন্ট এরিয়া ভাগ করে নিতে পারেন। অথবা প্রতিটি শ্রেণির শিক্ষকরা শিক্ষার্থী সংখ্যা ভাগ করে এ কাজ করতে পারেন।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট শিট দেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুল থেকে সংগ্রহ করেন। বাসায় শিক্ষার্থীরা পূরণ করলে অভিভাবকরা তা স্কুলে জমা দেন। এই অ্যাসাইনমেন্ট শিট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন দুর্বলতা চিহ্নিত করছে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসন। তবে এতে শিক্ষার্থীকে পাস বা ফেল দিয়ে মূল্যায়ন করা হয় না।