সব দেশে ন্যায্যতার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তত্ত্বাবধানে গঠিত বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকার এক লাখ ৬২০ ডোজ দেশে আসছে আজ। কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আজ দুপুরে এসব টিকা দেশে পৌঁছবে। তবে কবে নাগাদ ও কাদের এসব টিকা দেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত করেনি সরকার।
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড, রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি, চীনের সিনোফার্মের তৈরি সিনোভ্যাক্সের পরে দেশে চতুর্থ টিকা হিসেবে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায় মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের টিকা। দেশে করোনা ভাইরাসের টিকা সঙ্কটের মধ্যে গত ১৯ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আগামী ২ জুন আসবে। তবে তার দুদিন আগেই এই টিকা আসছে।
গত বছরের ২ ডিসেম্বর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এ টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ডব্লিউএইচও তাদের জরুরি ব্যবহার্য টিকার তালিকায় ফাইজারের টিকা অন্তর্ভুক্ত করেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড বা সিনোফার্মের তৈরি টিকার মতোই ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাও নিতে হবে দুই ডোজ করে। প্রথম ডোজ দেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সীদের
ওপর ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যাবে। চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালে এ টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে উৎপাদকদের ভাষ্য। পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তুলনামূলকভাবে বেশি কার্যকারিতা দেখালেও ফাইজারের টিকা সংরক্ষণ কাজটি কোভিশিল্ডের মতো সহজ নয়। কোভিশিল্ড যেখানে সাধারণ রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা সম্ভব, সেখানে ফাইজারের টিকা মাইনাস ৯০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষণ করতে হবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ টিকা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পাঁচ দিন রাখা যাবে। আর রেফ্রিজারেটরের বাইরে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ টিকা দুই ঘণ্টা ভালো থাকবে।