ফেনসিডিল চোরাচালান মামলায় তিন জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন যশোরের আদালত। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মোস্তফা কামাল এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট বিমল কুমার রায়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন তিনি ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবু সেলিম রানা।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিন জন হলেন- যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বুজতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার আহাম্মদপুর পন্ডিতবাড়ি গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও এরশাদ উল্লা মাস্টারের ছেলে গোলাম মাওলা। এর মধ্যে, কালাম ব্যতীত বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর সকালে যশোর র্যাব-৬ জানতে পারে, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা একটি কার্গো ফেনসিডিল নিয়ে যশোরের দিকে যাচ্ছে। এমন সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য র্যাব ৬-এর একটি দল বেনাপোল সড়কের গালফ ফিলিং স্টেশনের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি শুরু করে। সকাল ৮টার দিকে ফিরোজা কার্গোটি চেকপোস্টে এলে তল্লাশি করে ১২টি চটের বস্তায় দুই হাজার ২৪৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। একইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত তিন জনকে আটক করে।
এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি আফজাল হোসেন বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে আটক তিন জনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন এসআই মাহফুজুল হক এজাহারভুক্ত তিন জনকে অভিযুক্ত করে আদলতে চার্জশিট জমা দেন।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল কুদ্দুস ও গোলাম মাওলা মামলা চলাকালে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।