ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় সংক্রমণের হার আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৮ মে) ঢাকা সড়ক জোন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
গত কয়েকদিনে ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষজনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। শপিংমল মার্কেটগুলোতেও একই অবস্থা। এ ধরনের পরিস্থিতি গত কয়দিনে করোনা সংক্রমণ হারের যে নিম্নমুখী প্রবাণত সেটাকে আবারও বাড়িয়ে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আগে জীবন পরে জীবিকা, এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি। বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে। কাজেই এবার অন্তত সবাই মিলে ত্যাগ স্বীকার করি। আসুন সবাই মিলে প্রাণঘাতী এই করোনাকে প্রতিরোধ করি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়। তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করতে হবে। পুরনো কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো প্রকল্প হাতে না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণকাজ ধীরগতিতে এগোচ্ছে। এই সেতুর কাজের গতি বাড়াতে হবে। বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরে আসতে হবে। বারবার লোকসানের কথা আর শুনতে চাই না।
এ সময় বিআরটিসির কর্মচারীদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।