মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকলে কী হবে, বাড়ি যাওয়া থেমে নেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষদের। ফেরি করে পারাপারের জন্য দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হচ্ছেন শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়। বেলা যত বাড়ছে, বাড়ছে ভিড়।
আজ বুধবার ভোর থেকেই শিমুলিয়া ঘাট লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সকাল ১০টা পর্যন্ত পাওয়া খবরে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘাটে অপেক্ষা করছে নদী পার হওয়ার জন্য। এর আগে পাওয়া খবরে জানা গেছে, ঘরমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। এই অনুমতির পর শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে লোকজন আসতে শুরু করে। ভোট হতে হতে সেটি উপচে পড়া অবস্থানে রূপ নেয়।
শিমুলিয়া ঘাটে বশিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা পৃথক দুটি ফেরিতে যাত্রীদের চাপে ও তীব্র গরমে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘাট ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে যাত্রী বোঝাই করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ-পরান ছেড়ে আসে। বেলা সাড়ে ১১ টায় বাংলাবাজার ৩ নং ফেরি ঘাটে আসে। যাত্রীরা নেমে গেলে দেখা যায় আনচুর মাতুব্বর নামের ১৫ বছরের কিশোর ফেরিতেই মারা গেছে।
অন্যদিকে এনায়েতপুরী ফেরিতে তীব্র গরমে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও ২ জন মহিলা। এছাড়াও একই ফেরিতে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৭/৮ জন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন।