পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের গেজ রিডার (পানি পরিমাপক) সালমা খাতুন জানান, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সরজমিন দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পদ্মার মোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের সারি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে এক কিলোমিটারে যাত্রীবাহী বাসের সিরিয়াল রয়েছে। তবে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী কাঁচামালের গাড়ি ও ব্যক্তিগত যানবাহনকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হলেও অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ১৫-১৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে।
মোলা বন্দর থেকে খেলনা বোঝাই করে আসা কাভার্ডভ্যান চালক বাপ্পি বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ঘাটে এসেছি। এখনও পার হতে পারলাম না। বিকালের আগে পারবো বলে মনে হয় না। ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে সিরিয়ালে আটকে আছি। খোলা জায়গায় খাবার হোটেল, টয়লেট না থাকায় খুব কষ্ট হচ্ছে।’
হানিফ পরিবহনের যাত্রী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে আর এ ঘাট দিয়ে যাবো না। তখন সেতু দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকায় যেতে পারবো।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার আট সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। তীব্র স্রোতে ফেরি চলাচলে হিমশিম খাচ্ছেন চালকরা। প্রতিটি ফেরি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে যানবাহন লোড করে পাটুরিয়া পৌঁছানো পর্যন্ত এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। মূলত স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে ধীরগতি হয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৯টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। তবে দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যান ও কাঁচামালের ট্রাকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।’