বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল দিয়ে দ্বিতীয় দিনে পার হয়েছে সাত হাজার ১৯৬টি গাড়ি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এসব গাড়ি টোল দিয়ে পার হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের টোল ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রথম দিনে ২৪ ঘণ্টায় গাড়ি পার হয় পাঁচ হাজার ৬৭৮টি গাড়ি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১২ লাখ ১৩ হাজার ৩০০ টাকা। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে টোল আদায় সম্পন্ন হচ্ছে। টোল আদায়ের জন্য ১২টি বুথ আছে। প্রথম দিন ১০টি চালু করা হয়েছে। এখানে তিনভাবে টোল দেওয়ার সুযোগ আছে। তবে বর্তমানে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করা হচ্ছে।
টানেল প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ) কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ‘টানেল চালুর পর থেকে হরতাল-অবরোধ শুরু হয়েছে। এ কারণে গাড়ি কম পারাপার হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গাড়ির সংখ্যা বাড়বে।’
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্যে দিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর নিজ হাতে টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরে থাকা ২০টি গাড়ির জন্য চার হাজার টাকা টোল প্রদান করেন।
টানেল পাড়ি দিতে প্রাইভেটকার ও পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০ টাকা, বাস (৩২ সিটের বেশি) ৪০০ টাকা, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০ টাকা, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৮ দশমিক ০১ থেকে ১১ টন) ৬০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা টোল দিতে হয়।
শুরুতে টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বৃদ্ধি পেয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার।