যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শ্রমিকবান্ধব। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে তিনি বন্ধ আদমজী জুট মিল চালুর মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় তিনি সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন।’
বুধবার (০১ মে) বিকালে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল বাংলার কৃষক, শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষকে ঘিরে। তার দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন। বাকশাল হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ, যেখানে তিনি কৃষক ও শ্রমিককে প্রাধান্য দিয়েছেন।’
১৯৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল বলেন, ‘এরপর বিভিন্ন সময় সামরিক জান্তারা ক্ষমতায় এসে এদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। এরপর আবার ক্ষমতায় এসে জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে কাজ করার ধারাবাহিকতা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা চিন্তা করেন। সে কারণেই তিনি তাদের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। তার দীপ্ত নেতৃত্বে আমাদের শিক্ষার হার বেড়েছে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। তার সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক শ্রমজীবী মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।’
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি এখনও ওতপেতে আছে। তারা দেশের অর্থনীতি পর্যুদস্ত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। দেশের অগ্রযাত্রা বিনষ্ট করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে।’
দেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেছে জানিয়ে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও সাধারণ মানুষ বিপুল ভোটে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন।’
জাতীয় শ্রমিক লীগ যশোর জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জবেদ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান এবং শ্রমিক লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সেলিম রেজা পান্নু প্রমুখ।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুর রহমান লাবু ও বাশিনূর নাহার ঝুমুর উপস্থিত ছিলেন।