খাগড়াছড়িতে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-নার্সসহ ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে চালু করা যাচ্ছে না লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স। ২০২১ সালে ভারত সরকারের দেওয়া উপহারের অ্যাম্বুলেন্সটি অবহেলায় পড়ে আছে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে। স্থানীয়রা সমস্যার সমাধান করে দ্রুততম সময়ে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালুর জোর দাবি জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দেশের অন্যান্য হাসপাতালের মতো খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালেও আইসিইউ সুবিধার একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। ২০২১ সালে অ্যাম্বুলেন্সটি খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে সেটি অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে খোলা আকাশের নিচে।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনও হাসপাতালে নেই আইসিইউ সেবা। মুমূর্ষু রোগীদের চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা বা ঢাকা নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে আইসিইউ সুবিধার অ্যাম্বুলেন্সটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে সেটি চালুর বিষয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। অনেক সময় ঝুঁকি নিয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় প্রাণ গেছে অনেকের। এ অবস্থায় নাগরিকরা দ্রুততম সময়ে অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর দাবি তুলেছেন।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. জহুরুল আলম বলেন, আমাদের একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স আছে। কিন্তু আরও কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতি, দক্ষ জনবলের কারণে তা চালু করা যাচ্ছে না।
খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মুহাম্মদ জানান, লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স পেলেও, জনবল ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আমরা সুফল পাচ্ছি না। খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা অব্যবহৃত অ্যাম্বুলেন্সটি কিছুদিন পর কেজি দরে বিক্রি করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। দ্রুত দক্ষ চিকিৎসক-নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোগ করে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটি সচলের দাবি জানান তিনি।
করোনা পরিস্থিতিতে গেল বছর খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে তিন বেডের আইসিইউ ইউনিটের সরঞ্জাম আনা হয়। সেইগুলোও প্রশিক্ষিত জনবল সংকটে চালু করা যায়নি বলেও অভিযোগ করেন জেলার এই সাংবাদিকের।
খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করে সেবা দিতে প্রশিক্ষিত জনবল ও যন্ত্রাংশ প্রয়োজন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তেমন কোনও ফল পাননি বলে জানান তিনি।
খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করার জন্য। এই অ্যাম্বুলেন্সটি পরিচালনার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্স লাগবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কারণ
রোগীকে চট্টগ্রাম বা ঢাকায় পাঠালে-অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই মনিটর করতে হবে।