মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটের চিত্র বদলে গেছে। ঘাট এলাকায় আগের মতো যাত্রী ও যানবাহনের দীর্ঘ সারি নেই। পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় এই ঘাটে আগের চাপ কমে গেছে। মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল থেকে পাঁচটি লঞ্চ ও ৯টি স্পিডবোট চলাচল করেছে। ফেরিগুলো ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের অনেক আগেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি নৌপথে ফেরি চলাচল করছে। এই নৌপথে চারটি ফেরি যানবাহন পারাপারের জন্য রাখা হয়েছে। তবে সেতু উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত বড় কোনও যানবাহন পারাপার হয়নি। শুধু সোমবার শতাধিক মোটরসাইকেল পার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যেহেতু বড় কোনও যানবাহন আসছে না, তাই মোটামুটি দুই থেকে আড়াইশ’ মোটরসাইকেল হলে একটি ফেরি চালু করা হচ্ছে। কিন্তু আজ সকাল থেকে মোটরসাইকেলের তেমন চাপ দেখা যায়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পরও পার হতে না পেরে ১০-১২ জন মোটরসাইকেলচালক আসেন, তারা আবার ঘুরে চলে যান।
ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘শিমুলিয়া-মাঝিকান্দির যেই চ্যানেলটি (লৌহজং টার্নিং পয়েন্ট) দিয়ে ফেরি চলাচল করতো, সেখানে নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে হয়তো ফেরি চলাচল সম্ভব হবে না। ফেরি সার্ভিস কতটুকু সচল থাকবে বলা যাচ্ছে না। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ যানবাহন ঘাটে আসলে আমরা ফেরি ছাড়বো।’
বিআইডব্লিউটিএর মাওয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এখন আর তেমন যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোট পার হচ্ছে না। আজ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ছয়টি লঞ্চ ও ৯টি স্পিডবোট শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে।