বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেছে ভোটারের দীর্ঘ লাইন। এর মধ্যে দুই একটি কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। পাশাপাশি বয়স্ক ও তরুণ ভোটারের উপস্থিতিও ছিল বেশ।
রবিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার বাটনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ছিল নারী ভোটারে পরিপূর্ণ। ভোট নিতে একপ্রকার হিমশিম খেতে হয়েছে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন এই কেন্দ্রের ভোটাররা। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
লাইনে দাঁড়ানো একাধিক নারী ভোটার জানিয়েছেন, তারা নিজের এলাকা এবং দেশের উন্নয়নে ভোট দিতে এসেছেন। যে প্রার্থী এলাকার মানুষের উন্নয়ন করবেন, তাকেই বেছে নেবেন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর যেসব প্রার্থীকে এলাকায় পাওয়া যায় না তাদের এবার পরিহার করবেন তারা।
বাটনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা খাদিজা বেগম বলেন, ‘যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে, তাকেই ভোট দেবো।’
প্রথবারের মতো ভোট দিতে আসা নবীন হোসেন বলেন, ‘আমার দাবিটা একটাই, দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ। প্রতি নির্বাচনে এই দাবি জানালেও কোনও প্রার্থী বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন না। আমাদের বরিশালে তেমন কোনও শিল্পকারখানা নেই। এ কারণে লেখাপড়া শেষে ঢাকায় কিংবা অন্য শহরে যেতে হয়। এবার জয়ী প্রার্থীর কাছে আমার দাবি থাকবে, বরিশালে শিল্পকারখানা যেন গড়ে তোলা হয়।’
ভোট দিতে আসা ৬৮ বছর বয়সী জামাল মাঝি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছি। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা যা যা বলেন, নির্বাচিত হলে তা পূরণ করেন না। এজন্য মাঝেমধ্যে ইচ্ছে হয় ভোট দেবো না। কিন্তু ভোট দেওয়া আমার অধিকার। এজন্য ভোট দিতে এসেছি। তবে আমার কোনও দাবি নেই, যিনি নির্বাচিত হবেন এলাকার যেন উন্নয়ন করেন।’
বরিশালের ছয়টি আসনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৮২৭টি। মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা চার হাজার ৯৭১টি। ছয়টি আসনে মোট ভোটার ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪ জন, নারী ভোটার ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৪ ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯ জন। ছয়টি আসনে ১০টি দলের ৩৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।