ভাড়া দ্বিগুণ তবু মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। এভাবেই আজ বরিশাল থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। লঞ্চে বরিশাল ত্যাগ করেছে অন্তত ১০ হাজার যাত্রী। ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সকালে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ভোলা, মেহেন্দীগঞ্জ সহ বিভিন্ন রুটে ১৬টি ছোট আকারের লঞ্চ ছেড়েছে। বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় পাঁচ-ছয়টি লঞ্চ। এসব লঞ্চে ডেকের যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই ছিল না বললেই চলে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কোনো সচেতনাতামূলক প্রচারণাও চোখে পড়েনি।
বরিশাল থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া স্বাভাবিক সময়ে ২০০ টাকা হলেও আজ যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা করে আদায় করতে দেখা গেছে। বাড়তি ভাড়ার ব্যাপারে বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রেট চার্ট অনুযায়ী বরিশাল থেকে ঢাকার ডেকের ভাড়া ছিল ২৫৫ টাকা। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করা হতো। এখন রেট চার্টে ৬০ ভাগ ভাড়া বাড়ানোয় ৪০০ টাকা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে সুন্দরবন লঞ্চের সুপারভাইজার জাকির হোসেন জানান, যাত্রীদেরকে আমরা মাস্ক পরে লঞ্চে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করেছি। হাত ধোয়ার জন্য আমাদের টয়লেট, বাথরুম যেকেউ ব্যবহার করতে পারবে। নদীবন্দরের ইজারাদারের কর্মী হানিফ জানান, অন্যদিনের তুলনায় যাত্রী কিছুটা কম। তা নাহলে আরও মানুষের ভীড় হতো নদীবন্দরে।
বরিশাল সুন্দরবনবন লঞ্চের সত্ত্বাধিকারী সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, একটি লঞ্চের যে জায়গা রয়েছে তাতে এই যাত্রী সামন্যই। তারপরেও আমরা মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার কথা প্রচার করছি। বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চে যাত্রী পরিবহন ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনের জন্য লঞ্চ কতৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ পালন করছে না-এমন অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।