টাস্কফোর্সের অভিযান চলাকালে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা রেলগেট এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গাড়িতে পাথর নিক্ষেপ করেছে মাদককারবারিরা। মঙ্গলবার (১০ মে) রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবির কোনও সদস্য আহত না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়িটি।
তবে অভিযান চলাকালে হামলার শিকার হয়েও কেন প্রতিহত করেনি বিজিবি- এই নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা ১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, ‘আমরা কুমিল্লায় বহু অভিযান পরিচালনা করেছি। কখনও এমন পরিস্থিতির শিকার হইনি। এবার তারা আমাদের ওপর হামলার পরিপূর্ণ পরিকল্পনা করে রেখেছিল। তারা ১০/১৫ জন নারী চোরাকারবারি ও মাদককারবারিকে সামনে রেখে পেছন থেকে হামলা চালিয়েছে। যে কারণে আমরা তাদের প্রতিহত করিনি, এতে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল, ১০ মে রাতে ভারতীয় অবৈধ পণ্য ও মাদকের একটি বড় চালান এই এলাকা দিয়ে যাবে। সেই সূত্রে টাস্কফোর্স অভিযানের সিদ্ধান্ত নিই। আমরা যখনই শাসনগাছা দিয়ে রেল লাইনে ঢুকছিলাম তখন বৃষ্টির মতো পাথর আসা শুরু করে। মুহূর্তেই তাদের প্রায় ১০০ জনের একটি গ্যাং বেরিয়ে এসে বিজিবির ওপর হামলা করে। বিজিবি তখন রেল লাইনের পাশের মাক্স কোম্পানি অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তারা সেখানেও প্রবেশ করে আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। ক্যাম্পের ভেতরেও পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পরে ঘটনাস্থলে বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ আসেন। ততক্ষণে তারা পালিয়ে যায়।’
পরবর্তী ব্যবস্থার বিষয়ে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১০ মে) রাতেই কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আট জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত আসামিরা আইনের আওতায় আসবে।’
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সহিদুর রহমান বলেন, ‘টাস্কফোর্সের অভিযান চলাকালে বিজিবি ওপর মাদককারবারিরা হামলা করেছে। এ ঘটনায় মামলা করেছে বিজিবি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ওপর নজর রাখছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।’