খুলনা মহানগরীর বাগমারা এলাকায় ড্রেন সংস্কার কাজ চলাকালে একটি তিন তলা ভবনে ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এবং ভবনটি হেলে পড়েছে। হেলে পড়া ভবনটিকে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতেই ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও খুলনা সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বাগমারা মেইন রোড এলাকার ভবনটির মালিক মৃত মহিউদ্দিন আহমেদ। তার স্ত্রী-সন্তানরা এখানে বসবাস করেন। তৃতীয় তলার এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় বাড়ি মালিকের পরিবার এবং নিচতলা ও তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া মিলিয়ে ১১টি পরিবার ছিল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক বাবুল চক্রবর্তী বলেন, বাগমারা এলাকায় ৫২ নম্বর ভবনটি ডানদিকে সামান্য হেলে পড়েছে। এছাড়া পাশের আরও দু’টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ভবনে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সাধারণ লোকজনের চলাচল, ভবনে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ চলার ফলে নিচ থেকে মাটি সরে ভবনটি হেলে পড়েছে। যা বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে।
ভবন মালিকের জামাই তৌফিকুর রহমান বলেন, ড্রেন সংস্কারের জন্য ১৫/১৬ দিন ধরে মাটি ও ইট তোলায় বাড়িটি ঝুঁকিতে পড়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ভবনের নিচের অংশে সামান্য ধসে পড়েছে।
কেসিসি’র সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাজেদা বেগম বলেন, ভবন ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়টি সিটি মেয়রকে জানানো হয়েছে। বালুর বস্তা ফেলে ড্রেনের মাটি খোঁড়ার অংশ ভরাট করা হচ্ছে। বুধবার সেখানে ঢালাই দেওয়া হবে।