বাংলাদেশে ব্যবসার জন্য বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর নিয়েছে বিশ্বের অন্যতম বড় দুই টেক-জায়ান্ট গুগল ও অ্যামাজন। নন-রেসিডেন্সিয়াল প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রথমবারের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে গত সপ্তাহে এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে বিআইএন দেয়া হয়েছে।
এখন বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত সব আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়ার পাশাপাশি বছর শেষে মোট টার্নওভারের রিটার্ন দেবে কোম্পানি দুটি।
এর ফলে ভবিষ্যতে এসব প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে অফিস স্থাপনের প্রক্রিয়া এগোনোর পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর নিবন্ধনের পথ তৈরি হলো মনে করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সোমবার গুগল এবং বৃহস্পতিবার অ্যামাজনকে নিবন্ধন নম্বর দিয়েছি”।
এর আগে এনবিআরের চাপে এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসা করেছে ফেসবুক। ফেসবুকের বাংলাদেশ এজেন্ট এইচটিটিপুল এনবিআরকে ভ্যাট পরিশোধ করেছে। তবে এখনো দেশে নিবন্ধন নেই ফেসবুকের।
বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে গুগলের ৭০টি অফিস রয়েছে, অন্যদিকে অ্যামাজনের রয়েছে বিশ্বজুড়ে ১৭টি দেশে অফিস।
ই-কমার্সের প্রসারের পাশাপাশি বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে বিজ্ঞাপনে যুক্ত হওয়ায় গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, ইউটিউবসহ বিদেশী ওয়েবগুলো বছরে অন্তত ৩ হাজার কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশে নিবন্ধন নিলেও এসব প্রতিষ্ঠান কী প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করবে ও ভ্যাট পরিশোধ করবে এমন প্রশ্নে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ই-কমার্স, বিজ্ঞাপন, অ্যাপস, জিমেইল সার্ভিসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এখনই বাংলাদেশে এখনই বড় ব্যবসা রয়েছে গুগল, অ্যামাজনের। নিবন্ধনের পরও তারা একই প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করবে। তবে ব্যবসাটি কমপ্লায়েন্সের মধ্যে আসবে”।
তিনি বলেন, “এখন ভ্যাট পরিশোধের জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য দুটো বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। তারা চাইলে বাংলাদেশে এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে ভ্যাট পরিশোধ করতে পারবে। অন্যথায় বিদেশী বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা অথবা বাংলাদেশের কোনো ব্যাংকে অনলাইনে পেমেন্ট করে আমাদের ইনভয়েস দিতে পারবে। এছাড়া আমাদের দেশে যেসব বিদেশী ব্যাংকের শাখা রয়েছে সেসব ব্যাংকের মাধ্যমেও পরিশোধ করতে পারবে”।