ফাইভ–জি যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবার উদ্বোধন করলেন।
দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো ফাইভ-জি সেবা। ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রা ত্বরান্বিত করতে ও দেশের সব গ্রাহক যেন পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ-জি) মোবাইল প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সুবিধা উপভোগ করতে পারে, সেজন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে এই সেবা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় টেলিকম অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ফাইভ-জি সেবা চালু করেছে।
প্রাথমিকভাবে ছয়টি এলাকায় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এলাকাগুলো হলো- রাজধানী ঢাকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর, বাংলাদেশ সচিবালয়, জাতীয় সংসদ এবং সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও টুঙ্গিপাড়া।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এই সেবা উদ্বোধন করেন।
রোববার রাতে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ‘নিউ ইরা উইথ ৫ জি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা উদ্বোধন করেন ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ এমপি।
এছাড়া হুয়াওয়ের পক্ষে হুয়াওয়ের আঞ্চলকি প্রধান সিমন লিন ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ফাইভজি নিয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিন বিবিসিকে বলেছেন, “এখন পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা আগে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করবো। আমাদের একটি প্রকল্প অনুমোদনের পর্যায়ে আছে। সামনে ২০০ স্থানে আমরা বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি চালু করবো।”
আগামী বছরের মার্চে স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ নিলামের পরে বেসরকারি অপারেটররা আগামী বছর ফাইভ–জি চালু করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
টেলিকমিউনিকেশনে ফাইভ–জি হলো ব্রডব্যান্ড সেলুলার নেটওয়ার্কগুলোর জন্য পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তির মান, যেটি সেলুলার ফোন কোম্পানিগুলো ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী স্থাপন করা শুরু হয়েছিল এবং ফোর–জি নেটওয়ার্কগুলোর পরিকল্পিত উত্তরসূরি, যা বেশির ভাগ বর্তমান মুঠোফোনগুলোতে সংযোগ প্রদান করে। জিএসএম অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ফাইভ–জি নেটওয়ার্কের ১ দশমিক ৭ বিলিয়নের বেশি গ্রাহক থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।