সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল ৪টায় প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। এ সময় প্রধান ফটকের দরজা বন্ধ করে বাইরে অবস্থান নেয় পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশ আন্দোলনকারীদের সড়ক অবরোধ করতে নিষেধ করে ক্যাম্পাসে কর্মসূচি করার আহ্বান জানান। তবে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
পাঁচ মিনিট বাগবিতণ্ডার পর পুলিশের বাধা অতিক্রম করে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। তখন পুলিশ জলকামানের গাড়ি আনার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পিছু হটে যায় জলকামানের গাড়ি। তবে প্রথমে বাধা দিয়েও আটকাতে না পেরে পুলিশে এখন আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানাচ্ছেন সড়ক ছেড়ে দিতে।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লা সিফাত বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশের বাধা আমরা কামনা করি না। আমরা পুলিশকে আমাদের বন্ধু মনে করি। আমরা চাই, আমাদের আন্দোলনে পুলিশ যেন আর বাধা না দেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরিফ সোহেল বলেন, আমাদের আন্দোলনে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে কথাটা সত্য। কিন্তু এই বৈষম্যমূলক কোটার কারণে যদি কারও চাকরি না হয় তাহলে একটা পরিবারের যে ভোগান্তি তার কাছে এই সাময়িক ভোগান্তি কিছুই না। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তবে ঢাকা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ ও ট্র্যাফিক) আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, গত কয়েক দিনের টানা অবরোধে উত্তরবঙ্গগামী মানুষের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যেহেতু আদালতের রায় (কোটা নিয়ে এক মাসের স্থিতাবস্থা) শিক্ষার্থীদের পক্ষে এসেছে। আদালতের পক্ষ থেকে তাদের কাছে এক মাসের সময় চাওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, আদালতের প্রতি সম্মান রেখে তারা তাদের অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকবে। আমরা তাদের আধা ঘণ্টার মধ্যে কর্মসূচি শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছি।