বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২৭মে ১০ গ্রুপের কাজের টেন্ডার আহবান করে বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ। সিডিউল ঠিকাদারদের মাঝে বিতরণ করলেও ৮নং সিডিউলটি (৮৯০০০০ টাকা) কোন ঠিকাদারকে না দেয়ায় আগত ঠিকাদারা খোভ প্রকাশ করেন।
অনেকে বলেন কাজের মধ্যে সুভংকের ফাকি হওয়ার আশংকা রয়েছে। এজন্যই প্রকৃত ঠিকাদারদের সকল সিডিউল দেয়া হয়নি। ৬নং সিডিউলে উপজেলা চত্তরে ব্যক্তির নামে পাঠাগার নির্মাণের জন্য ৬লক্ষ টাকা বরাদ্ধ রয়েছে। এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রিয় যায়গায় কোন ব্যক্তির নামে স্থাপনা নির্মাণের জন্য মন্ত্রনালয়ের অনুমতির প্রয়োজন হয়। অনুমতি ব্যতিত কারো নামে প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবেনা। সিডিউলে উল্লেখ করা হয়েছে ‘উপজেলা চত্তরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব খান স্মৃতি পাঠাগার নির্মাণ’ (বরাদ্ধ ৬লক্ষ টাকা) উল্লেখিত ব্যক্তির নামে পাঠাগার স্থাপন করার মর্মে উপজেলা পরিষদে কোন মিটিং রেজুলেশন বা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নাই। এব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী এমদাদুল হক দুলাল বলেন,‘এই প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে স্থাপন হয়েছে। বর্তমানে সংস্কারের জন্য আমরা বরাদ্ধ দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,পূর্বের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় জমিতে কোন ব্যক্তির নামে কিছু করতে হলে মন্ত্রনালয়ের অনুমতি লাগবে।’ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আজাদ বলেন,‘আইনকানুনের ব্যাপারতো তাই চেয়ারম্যান সাহেব এর সাথে যোগাযোগ করুন।’ তবে ৮নং সিডিউলের ব্যপারে কেহই মুখ খুলতে রাজি হননি। উপজেলা প্রকৌশলী মনোয়ারুল ইসলাম’র ফোনে একাধীক কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সূত্র :বরিশাল বাণী