Image default
বাংলাদেশ

বাবুল ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইলিয়াসের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা

মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ ও প্রচারের অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। এবারের মামলাটি করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।

গতকাল মঙ্গলবার নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করা হলেও আজ বুধবার বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে প্রধান আসামি করা হয় ইলিয়াস হোসাইনকে। এরপর যথাক্রমে রয়েছেন বাবুলকে প্রধান আসামি এবং তার ভাই হাবিবুর রহমান ও বাবা ওয়াদুদ মিয়া।

এর আগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় একই অভিযোগে ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, বাবুলসহ চারজনকে আসামি করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, মাহমুদা হত্যা মামলা নিয়ে বাবুল আক্তার, পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইলিয়াস হোসাইন ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এতে পিবিআই এবং পিবিআইয়ের প্রধানের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান ও তাঁর বাবা আবদুল ওয়াদুদের যোগসাজশে ইলিয়াস হোসাইন এ ধরনের তথ্য সরবরাহ ও প্রচার করেন। এ কারণে তাঁদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।

ইলিয়াসের ভিডিওটি প্রকাশের পরই বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইয়ের পরিদর্শক এনায়েত কবিরসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন বাবুল আক্তার। আবেদনে বলা হয় বাবুলকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হেফাজতে রেখে নির্যাতন করা হয়। এই আবেদনের পর কারাগারে বাবুল আক্তারের সেলে পুলিশ তল্লাশি করে বলেও অভিযোগ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারাগারে নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বাবুল আরেকটি আরেকটি আবেদন করেন। তবে দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

Related posts

আবারও বেড়েছে চালের দাম

News Desk

ক্রিকেট খেলা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে তরুণকে হত্যা

News Desk

বাস-আলমসাধু সংঘর্ষে প্রাণ গেলো ২ জনের

News Desk

Leave a Comment