রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনদিন আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েই মারা যান বলে সন্দেহ করছেন চিকিৎসকরা। তিনি আসলেই এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত ছিলেন কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। নমুনা কালচারের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন আরেক রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এমনটা প্রায় নিশ্চিত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তারা বলছেন, নমুনা কালচার করা না হলেও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্যারামিটার দেখে ওই রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যায়। তারা ইতোমধ্যেই সে অনুযায়ী রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ দিন দশেক আগে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হন। তার উচ্চমাত্রার অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও কিডনির সমস্যা ছিল। তিনি ইতোপূর্বে করোনায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনদিন আগে তার মৃত্যু হয়। আমরা সন্দেহ করছি যে তার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তিনি আরও বলেন, ওই রোগী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, ফুসফুসে ইনফেকশন ছিল, উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস এবং কিডনি সমস্যা ছিল। প্রাথমিকভাবে কিছু পরীক্ষার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে এসেছে। ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে ওই রোগীর মৃত্যু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কারণেই হচ্ছে। কিন্তু কালচার পরীক্ষা না করলে কনফার্ম করতে পারব না, এতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে।
ডা. দেলোয়ার বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা অন্য ফাঙ্গাস পরিবেশেই রয়েছে। আপনার-আমার সবার শরীরেই ফাঙ্গাস রয়েছে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো তাদের কিছু হয় না।
অন্য যে রোগী ভর্তি রয়েছে তার কালচার পরীক্ষা করা না হলেও তিনি যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত সে ব্যাপারে তারা ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত বলে উল্লেখ করেন। ওই রোগীর চিকিৎসাও শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।