আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটটির প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
রিটকারী আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী নিজেই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের ভোটার তালিকায় নিজের নাম থাকায় তিনি রিট আবেদনটি করেছিলেন। কিন্তু বার কাউন্সিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারের ১১ বিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণের আগ পর্যন্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ আছে। বার কাউন্সিলে আবেদন না করে তিনি নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করায় রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
হাইকোর্টের খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলে জানান আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী।
আগামী ২৫ মে বার কাউন্সিল নির্বাচনের তারিখ রয়েছে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্যানেল ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাকটিশনারস অ্যান্ড বার কাউন্সিল আদেশের অধীনে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। দেশের আইনজীবীদের সনদ লাইসেন্স প্রদানকারী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে থাকে বার কাউন্সিল। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন।