Image default
বাংলাদেশ

বিএনপির খুঁটিতে জোর থাকলে বিদেশিদের কাছে যেতে হতো না: প্রধানমন্ত্রী

নিজের দেশের মাটিতেই যদি বিএনপির সমর্থন থাকত, যদি তাদের খুঁটিতে জোর থাকত, তাহলে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়ার প্রয়োজন হতো না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনসমর্থন ও জনগণের ওপর আস্থা থাকলে, বিশ্বাস থাকলে তারা (বিএনপি) জনগণের কাছে যেত; বিদেশিদের কাছে দৌড়ে বেড়াত না। এটাই হলো বাস্তবতা।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সদ্য সমাপ্ত রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিকেল চারটায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন করেন, বিএনপি প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কাছে যাচ্ছে; নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে, নাকি বিদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়, নির্বাচনটা কে করে দিয়ে যাবে। বিএনপি ভুলে গেছে তাদের অতীতের কথা। বিএনপির সৃষ্টি যেভাবে, একটি মিলিটারি ডিকটেটরের পকেট থেকে বিএনপির সৃষ্টি। তারপর নির্বাচনের যে প্রহসন, এটা তো তাদেরই সৃষ্টি। বরং আমরা নির্বাচনটাকে এখন জনগণের কাছে নিয়ে গেছি।’ তিনি বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকা হচ্ছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যেন তার ভোটটা দিতে পারে, সে পরিবেশ বা ভোট সম্পর্কে মানুষের যে সচেতনতা, এটা কিন্তু আওয়ামী লীগই সৃষ্টি করেছে।

জনসমর্থন, জনগণের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস—এই শক্তি বিএনপির নেই বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা কোন মুখে জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবে। আগুন দিয়ে পোড়ানো, মানুষ খুন করা, বোমা মারা, গ্রেনেড মারা—সব জায়গায় তো আছে। তারা যদি সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন কী জবাব দেবে বিএনপি। এ জন্যই তারা বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বেড়ায়। দেশের মানুষের কাছে যায় না।

গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিএনপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তো বাধা দিচ্ছি না। আন্দোলন করেন, সংগ্রাম করেন। যত আন্দোলন করবেন তত ভালো। কিন্তু পারে না তো। কী করব।’

সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ভোটের মাধ্যমেই এসেছে; নির্বাচনের মাধ্যমেই এসেছে। এ দেশে নির্বাচনের যতটুকু উন্নতি, যতটুকু সংস্কার, এটা আওয়ামী লীগ সবাইকে নিয়েই করে দিয়েছে।

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরপরও যদি কেউ না আসে, সেখানে আমাদের কী করণীয়। হারার ভয়ে আসবে না। একেবারে সবাইকে লোকমা তুলে খাইয়ে দিতে হবে; জিতিয়ে দিতে হবে; তবেই আসব। এটা তো হয় না।’ তিনি বলেন, ‘এটা আগে করেছে। মিলিটারি ডিক্টেটররা ওভাবেই করেছে। যাদের ওই অভ্যাস, তারা তো জনগণের কাছে যেতেই ভয় পায়। জনগণের সামনে ভোট চাইতে ভয় পায়।’

প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল—সামনে নির্বাচন। সবকিছু মিলিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে এবারও চায়ের আমন্ত্রণ জানাবেন কি না?

Related posts

দেশে চীন ও রাশিয়ার ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমোদন

News Desk

চলন্ত অবস্থায় যাত্রীর সঙ্গে তর্কাতর্কি চালকের, পুকুরে পড়ার সময় গেলেন পালিয়ে 

News Desk

নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা

News Desk

Leave a Comment