কোথাও কোনো বাধা নেই। গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের গাড়ি চলছে। সড়কে নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশি। মার্কেট-শপিংমল ছাড়া খুলেছে প্রায় সব দোকানপাট। বাজারমুখী সড়কেও আছে ভিড়। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে শনিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
মিরপুর-১০ নম্বরের চেকপোস্টে পুলিশের উপস্থিতি ছিল দায়সারা। শাহআলী মার্কেটের সামনের চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের একজন সদস্য দাঁড়িয়ে থাকলেও কাউকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়নি। ফলে কোনো বাধা ছাড়াই মোটরসাইকেল, রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে। ১০ নম্বরে পেয়ারা বিক্রেতা সিরাজ বলেন, ‘এখন আর কেউ সমস্যা করছে না। সব দোকানপাট খোলা। এখন আর লকডাউন নাই।
শাহআলী মার্কেট বন্ধ থাকলেও মূল ফটকের বাইরে মোবাইলের দোকানের বিক্রয়কর্মীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ক্রেতাদের ছবি দেখিয়ে ভেতর থেকে মোবাইলসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ এনে দিতে দেখা গেছে। বিধিনিষেধে তৎপরতার ব্যাপারে জানার জন্য মিরপুর-১০ নম্বরের পুলিশ বক্সে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।
এছাড়া রূপনগর, পল্লবী, মিরপুর-২ সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের দোকানপাট খুলেছে। গণটিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে ছিল টিকা গ্রহীতাদের ভিড়। প্রধান সড়কে মানুষের চলাফেরাও প্রায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
মিরপুর বেনারসিপল্লীর শাড়ির দোকানদার শাহনেওয়াজ বলেন, ‘১১ আগস্ট থেকে দোকান খুলব। এখন পলায়া পলায়া বেচাকেনা করছি। পুলিশ আসলে শাটার বন্ধ করি। তারাও জানে আমরা দোকান করি। কিন্তু পুলিশ আর কত ধরবো? অনেক সময় শাটার খোলা থাকলেও তারা কিছু বলতেছে না। সবাইরে নিয়া তো বাঁচতে হইবো। দোকান বন্ধ রাখলে তো কোনো ইনকাম নাই।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হয়। পরে তা কয়েক দফায় বাড়িয়ে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এর মাঝে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আটদিনের জন্য বিধিনিষেধ শিথিলও করা হয়।