লালমনিরহাটে ভারী বৃষ্টিপাতে স্থানীয় নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। ক্ষতি হয়েছে ফসলি ক্ষেত ও পুকুরের।
মাছ চাষিরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পানি ছিল না। মাছ চাষে বিলম্ব হয়েছে। পোনা উৎপাদন ও পুকুরে পোনা ছেড়ে দিতে না পারায় একটা ক্ষতি হয়েছে। যখন পোনা ছেড়েছে তখনই তলিয়ে গেছে পুকুর।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সূত্র জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি উজান থেকে নেমে আসা পানিও রয়েছে। পানির চাপ কমাতে তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের ৪৪ গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এর ৭৩ কিলোমিটার ভাটিতে থাকা কাউনিয়া তিস্তা রেলসেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে পানি।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টায় কাউনিয়া রেলসেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে, সকাল ৯টায় ২০ সেন্টিমিটার ওপরে, দুপুর ১২টায় ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে উজানের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচে, সকাল ৯টায় ২৩ সেন্টিমিটার নিচে, দুপুর ১২টায় ২৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
রংপুরের প্রধান আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে, উজানের পানি ও অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাতের কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কুড়িগ্রামের দুধকুমার, তিস্তা ধরলায় পানি বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। তিস্তার ব্যারাজ পয়েন্টে পানি না বাড়লে কাউনিয়া পয়েন্টেও সন্ধ্যার পর নেমে যেতে পারে।
জেলা খামারবাড়ির উপ-পরিচালক ড. শাইখুল আরেফিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের কিছু বীজতলা, অল্প কিছু আমন আর ভুট্টা আছে। উপজেলা থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কোন ফসল কতটুকু ক্ষতি হয়েছে তালিকা পেলেই বোঝা যাবে। তবে তেমন ক্ষতি হবে না বলে আশা করছি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা করা হয়নি। উপজেলা কর্মকর্তারা তালিকা করছে। আগামীকাল বিকালে তালিকা দেওয়া সম্ভব হবে।