দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ২০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মো. মিল্টন মোল্যা (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫৪ ভোট।
এ আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (হাতুড়ি) পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৭ ভোট, জাতীয় পার্টির (জেপি) শামিম আরা পারভীন ইয়াসমীন (বাইসাইকেল) ৫১৩ ভোট, তৃণমূল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী (সোনালি আঁশ) ৫৬৩ ভোট , স্বতন্ত্র প্রার্থী সিকদার মো. শাহাদাত হোসেন (মাথাল) ১ হাজার ৩১ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক (ঈগল) ৮৮১ ভোট পেয়েছেন।
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি) পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট।
এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী খন্দকার ফায়েকুজ্জামান (ফিরোজ) লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৯০৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী মো. মনিরুল ইসলাম (আম) ৫৮০ ভোট, গণফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মো. লতিফুর রহমান (মাছ) ৫৮২ ভোট, ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার) ১ হাজার ৮৫২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু (ট্রাক) ৩৫৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুর ইসলাম (ঈগল) ১ হাজার ৩৬৩ ভোট পেয়েছেন।
সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এবং কালিয়া পৌরসভাসহ কালিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নড়াইল-১ আসন। এ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫ জন এবং ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৫ হাজার ৪০৩ জন।
লোহাগড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন, লোহাগড়া ও নড়াইল পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নড়াইল-২ আসন। এ আসনে ৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং ২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এখানে মোট ভোটার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৯ জন।
জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে নড়াইল-১ আসনে বিএম কবিরুল হক মুক্তি এবং নড়াইল-২ আসনে মাশরাফি বিন মুর্তজার নাম ঘোষণা করেন। এ জেলার দুটি আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে জয়ের পর মাশরাফিকে তার নির্বাচনি এলাকার ভোটার ও শুভানুধ্যায়ীরা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং ভক্তরা মিষ্টি বিতরণ করেন।