সৌদিগামী ফ্লাইটের যাত্রীদের সাত দিনের কোয়ারেন্টিনসহ কঠিন শর্তারোপ জুড়ে দেয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আগামী ২০ মে থেকে পরবর্তী চার দিনের সবগুলো শিডিউল ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সিদ্ধান্তটি সোমবার সৌদি আরবে বিমানের জেদ্দা, দাম্মাম ও রিয়াদ স্টেশনের কান্ট্রি ম্যানেজারকে ই-মেইলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
গত রোববার সৌদি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে এক ই-মেইল বার্তায় জানানো হয়, ২০ মে রাত ১২টা (স্থানীয় সময়) থেকে সৌদিগামী বিমানের ফ্লাইটের প্রত্যেক যাত্রীকে অবশ্যই নিজ খরচে (থাকা ও খাওয়া) সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের থাকা খাওয়ার খরচ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কেটে নেয়া হবে। একই সাথে যাত্রী যাওয়ার পর দ্বিতীয় দিন এবং ষষ্ঠ দিন করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই খরচও এয়ারলাইন্স থেকে কেটে অ্যাডজাস্ট করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এমন কঠিন শর্তের চিঠি পেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে কিছুটা দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়। কর্তৃপক্ষের শঙ্কা, এমন কঠিন শর্তে কি যাত্রী পাওয়া যাবে? এরপরই বিমান ম্যানেজমেন্ট ২০ থেকে ২৪ মের চার দিনের (প্রতিদিন তিনটি করে) সবগুলো শিডিউল ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নয়া দিগন্তকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০-২৪ মে বিষয়টি এখন পর্যন্ত ঠিকই আছে। ওরা এখন যে সমস্ত কঠিন শর্ত দিয়েছে সেগুলো আবার চার দিন আগে তাদেরকে কনফার্ম করতে হবে। তার মানে আজকে (মঙ্গলবার) কনফার্ম করার কথা। তাহলে তো আজকে পেয়ে আজকেই তো করা আমাদের সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে ওই চার দিনের বিষয়ে আমাদের ফ্লাইট স্থগিত রাখতে হচ্ছে। তারপরে আমাদেরকে আবার পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে বিমানের আবুধাবী, দুবাই, কুয়েত, মাস্কাট, নেপাল ও ভারতের কলকাতা-দিল্লি রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ২৪ মে থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুধু ঢাকা-দুবাই-ঢাকা রুটে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট (ফেরি) পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিমানের বলাকা ভবন সূত্রে জানা গেছে।