চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া বিরল প্রজাতির চারটি সাদা বাঘ শাবকের নাম রাখা হয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে চিড়িয়াখানার কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে শাবকদের নাম রাখা হয়।
চিড়িয়াখানা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান শাবকদের নাম রাখেন– পদ্মা, মেঘনা, সাঙ্গু ও হালদা।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘গত শনিবার রাজ-পরী বাঘ দম্পতির চারটি সাদা শাবক জন্ম নেয়। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এই দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া প্রথম সাদা বাঘটি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের প্রাণী। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ষোলোটি বাঘ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি বিরল প্রজাতির সাদা বাঘ।
তিনি আরও বলেন, ‘চিড়িয়াখানার বাঘ ছাড়াও আছে– জেব্রা, ভল্লুক, সিংহ, হরিণ (চিত্রা, সাম্বার, মায়া), উল্লুক, বানর, মেছোবিড়াল, চিতাবিড়াল, অজগর, বাঘডাসা, উঠপাখি, ইমু পাখি, গয়াল, কুমির, ময়ুর, ঘোড়া, বক, টিয়াসহ ৬৬ প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি আছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ২০১৯ সালে দলগতভাবে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক অর্জন করে।’
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, ‘জন্ম নেওয়া চার বাঘ শাবকের নাম রাখা হয়েছে। শাবকগুলো মায়ের সঙ্গে খাঁচায় আছে। একেকটি শাবকের ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম। এখন পর্যন্ত সবকটি শাবকই সুস্থ আছে।’
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দরপত্রের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকায় ১১ মাস বয়সী রাজ এবং নয় মাস বয়সী পরীকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই রাজ-পরী দম্পতির ঘরে তিনটি ছানার জন্ম হয়। সেগুলোর মধ্যে দুটি ছিল সাদা বাঘ এবং একটি কমলা-কালো ডোরাকাটা। সাদা রঙের একটি শাবক মারা যায়। অন্য সাদা শাবকটির নাম রাখা হয় শুভ্রা। কমলা কালো ডোরাকাটা বাঘিনীর নাম দেওয়া হয় জয়া।
পরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাজ-পরীর জন্ম দেওয়া শাবকের নাম রাখা হয় ‘করোনা’। ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর তিনটি শাবকের জন্ম হয় রাজ-পরীর ঘরে। মায়ের দুধ না পেয়ে রোগাক্রান্ত দুটি শাবক মারা যায়। একটি মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হন চিকিৎসকরা। সেটির নাম রাখা হয় ‘জো বাইডেন’।