Image default
বাংলাদেশ

বুড়িমারী বন্দর দিয়ে সাত মাসে ৭৭৪ কোটি টাকার ভুট্টা আমদানি

লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে গত সাত মাসে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৯ টন ভুট্টা আমদানি হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৭৭৪ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৬০০ টাকা। 

বুড়িমারী স্থলবন্দর ও কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই মাসে ১৪ হাজার ৩৬৩ টন, আগস্টে ৪৭ হাজার ৯০১ টন, সেপ্টেম্বরে ৫১ হাজার ৩৩৭ টন, অক্টোবরে ৪৫ হাজার ৪৯৫ টন, নভেম্বরে ৬৩ হাজার ১৩১ টন, ডিসেম্বরে ৩৪ হাজার ৪২৯ টন এবং জানুয়ারিতে ৩৮ হাজার ২১ টন ভুট্টা আমদানি হয়েছে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধের অতিরিক্ত উপপরিচালক শাহ মো. মাহফুজুল হক জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন কোম্পানি ও স্থানীয় আমদানিকারক ব্যবসায়ী এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ভুট্টা আমদানি করছে। 

বুড়িমারী বন্দর ব্যবহারকারী স্থানীয় ভুট্টা আমদানিকারক মেসার্স রাহি ট্রেডার্সের মালিক তারেক ইসলাম বলেন, ভুট্টার ব্যবহার বেড়েছে। দেশের অভ্যন্তরে কৃষক পর্যায়ে চাষও প্রচুর হচ্ছে। এরপরও দেশে চাহিদা বেশি থাকায় ভারত থেকে ভুট্টা আমদানি করা হচ্ছে। প্রতি কেজি ভুট্টা আমদানিতে এলসি মূল্য ৩২০ ইউএস মার্কিন ডলার হলে বাংলাদেশি ২৭ টাকা ২০ পয়সা দাম হয়। এর সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও সরকারি বিভিন্ন খরচসহ সবমিলিয়ে নীট খরচ প্রায় ২৯-৩০ টাকা পড়ে প্রতিকেজি।

তিনি আরও বলেন, তিন ধরনের ভুট্টা আমদানি হয়ে থাকে; এ গ্রেড, বি গ্রেড  ও সি গ্রেড। এ গ্রেড ভুট্টা দিয়ে পোল্ট্রি ফিড, বি গ্রেড দিয়ে গরুর খাদ্য ও সি গ্রেড দিয়ে মাছের খাদ্য উৎপাদন করা হয়। এর মধ্যে যেসব ভুট্টা উৎকৃষ্টমানের, সেগুলো বিস্কুট উৎপাদনে ব্যবহার হয়ে থাকে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স হক এন্টারপ্রাইজের সাইনিং প্রতিনিধি মমিনুল হক বলেন, সরকার কৃষক পর্যায়ে বিশেষ প্রণোদনা দিলে দেশেই ভুট্টা উৎপাদন করে চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয়ের সেদিকে নজর কম। ফলে লাখ লাখ টন ভুট্টা আমদানি করে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। আশা করি সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় তামাক চাষ ঠেকাতে ভুট্টা চাষ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক রুহুল আমীন বলেন, এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন আমদানি-রফতানি পণবোঝাই প্রায় ৪-৫শ ট্রাক প্রবেশ করছে। জনবল ঘাটতি, ইয়ার্ড ও শেডে জায়গা সংকুলানের কারণে ব্যবসায়ীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এজন্য বন্দরটির ইয়ার্ড ও শেড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

স্থলবন্দরের কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) কেফায়েত উল্ল্যাহ মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে সেবা প্রদানের চেষ্টা করছি। এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বেড়েছে। তবে দেশে ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে আমদানি কমে যাবে।

Source link

Related posts

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে এমপি রবির ‘পঞ্চপাণ্ডব’

News Desk

মিরসরাইয়ে ২ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করছেন চাষিরা 

News Desk

টিকা কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়ে আহত ৫

News Desk

Leave a Comment