বৃষ্টির পর দিনাজপুরের হিলিতে কয়েকদিনের ব্যবধানে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কমে আসবে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের সব সবজির দোকানেই শীতকালীন বিভিন্ন সবজির সরবরাহ রয়েছে। তারপরও বেড়েছে দাম। ফুলকপি আগে ২০ টাকা পিস বিক্রি হতো। এখন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। বাঁধাকপি আগে ২০ টাকা পিস বিক্রি হতো। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। শিমের কেজি বেড়ে ৪০ টাকা, বেগুনের কেজি ৪০ টাকা, করলার কেজি ৮০ টাকা কেজি, গাজরের কেজি ২০ টাকা, মটরশুটির কেজি ৪০ টাকা কেজি, পেঁপে ২০ টাকা কেজি, টমেটো ৩০ টাকা কেজি ও আলু ১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের কেজি ২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারে সবজি কিনতে আসা ভ্যানচালক ইয়াসিন আলী বলেন, শীতের কারণে বাজারে মানুষ নেই, এতে আয় কমে গেছে। এদিকে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। কোনোটার দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আমাদের তো আয় বাড়েনি যে দাম বাড়লেও কিনে খেতে পারবো। আগে যেখানে এক কেজি কিনতাম এখন সেখানে হাফ কেজি কিনে কোনোরকমে সংসার চালাতে হচ্ছে।
শেফালি বেগম বলেন, বৃষ্টির পর বাজারে সব সবজির দামে আগুন লেগে গেছে। আমরা গরিব মানুষ। একটু ভর্তা-ভাত খেয়ে চলবো, সেই অবস্থাও নেই। এভাবে যদি দাম বাড়ে তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কীভাবে কিনে খাবো?
সবজি বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, সাধারণত মাঘ মাসে বৃষ্টি হয় না। কিন্তু এবারেই ব্যতিক্রম। বৃষ্টিপাতের কারণে আশপাশের বিরামপুর ও পাঁচবিবিসহ যেসব অঞ্চলে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়ে থাকে, সেসব অঞ্চলে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বাজারে সবজির সরবরাহ কমেছে। মূলত এ কারণে সবজির দাম খানিকটা চড়া। নতুন করে সবজির উৎপাদন শুরু হলে বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে।