ধান ও ঘাসের ডগায় শিশির এবং কুয়াশা সাধারণত শীতকালেই দেখা যায়। তবে এর ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে দিনাজপুরে। হঠাৎ বৈশাখের এই খরতাপের মধ্যে ‘শীতের শিশিরের’ দেখা মিলছে জেলায়। এমন দৃশ্য এর আগে কখনোই দেখেননি বলে জানিয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠরা।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাত থেকেই দিনাজপুর সদরের বিভিন্ন এলাকায় এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে। রবিবার ভোরে দৃশ্যটা ছিল পুরোপুরিই শীতকালের। যদিও শীতকালে যে ধরনের তাপমাত্রা থাকে সেটি ছিল না।
গত কয়েকদিন আগেই এই এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। দিনে প্রচণ্ড তাপ অনুভূত হচ্ছে। থার্মোমিটারের পারদে তাপমাত্রাও থাকছে ৩৫-এর ওপরে। তবে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গেই শীতের মতো কুয়াশা। তবে এটি বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে।
দিনাজপুর সদর উপজেলার রাজবাটী এলাকার লক্ষণ সরকার বলেন, ‘সকালে আমি বাড়ি থেকে অফিসে আসি ৭টার দিকে। এ জন্য আমাকে ভোরে উঠতে হয়। ভোরে উঠে দেখি প্রচণ্ড কুয়াশা। আমি এর আগে কখনও বৈশাখে এমন কুয়াশা দেখিনি।’
সদরের শেখপুরা ইউনিয়নের বোলতৈড় এলাকার সেলিম রেজা বলেন, ‘রমজানের জন্য ভোরে সেহেরি খেতে উঠে দেখি প্রচণ্ড কুয়াশা। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ঘাসে শিশির বিন্দু, ধানবাড়িতেও শিশির। আসলে এমনটি আগে কখনও হয়নি। মনে হচ্ছিল, এটি বোরো মৌসুম না, আমন মৌসুম। সাধারণত আমন মৌসুমে এমন দেখা যায়।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র কর্মকর্তা তোফাজ্জুল হোসেন জানান, সাধারণত বৃষ্টির পরে কুয়াশা দেখা যায়। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাই এমনটি হচ্ছে। বৃষ্টির পর রোদ হওয়ায় জলীয় বাষ্পের জন্য কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। এটি স্বাভাবিক।