করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত চলমান ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। রবিবার (৬ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। লকডাউনের সময় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকে লেনদেনের সময়ও বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ব্যাংকগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। লেনদেন পরবর্তী অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করার জন্য বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখা যাবে। এ নির্দেশনা আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে রবিবার (৬ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেনদনের পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। জনসাধারণের প্রয়োজন বিবেচনায় নিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত আকারে চালু রাখার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
গ্রাহকদের হিসাবে সর্ব ধরনের জমা এবং উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ ট্রেজারি, চালান গ্রহণ, সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় দেওয়া ভাতা, অনুদান, বিতরণ, বৈদেশিক রেমিটেন্সের অর্থ পরিশোধ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃশাখা স্থানান্তর, এনআবি বন্ডে এবং বিভিন্ন প্রকার জাতীয় সঞ্চয় সার্টিফিকেটের মেয়াদপূর্তিতে নগদায়ন ও কুপনের অর্থ পরিশোধ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউটিলিটি বিল গ্রহণসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সমুদ্র, স্থল, বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাক্রমে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদনে চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএমবুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসগ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা সার্বক্ষণিক চালু রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। এটিএম বুথগুলোতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা-স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সব খোলা রাখা শাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনপূর্বক রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ও সীমিত জনবল দিয়ে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে হবে।