ভারী বর্ষণে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেড় হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে
বাংলাদেশ

ভারী বর্ষণে টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেড় হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে

টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ স্থানীয়দের দেড় হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এতে ৬ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি-চিংড়ি ঘেরও। প্রাণহানি রোধে পাহাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারী বর্ষণের ফলে টেকনাফে বাড়িঘর ডুবে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য মতে, টেকনাফের পৌরসভা, সাবরাং, হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সদর ইউনিয়নের বসবাসকারী ৮০০ পরিবারের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া টেকনাফের লেদা, জাদিমুড়া ও আলীখালী ক্যাম্পের ৭০০ ঘর ডুবে গেছে। পাশাপাশি প্রাণহানি রক্ষায় টেকনাফ পৌরসভায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে বলেছে উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘ভারী বর্ষণে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং, সদর ও পৌরসভাসহ বিভিন্ন গ্রামে হাজারের কাছাকাছি ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। পাশাপাশি অতিভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসের সম্ভবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাকারীদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে।’

ভারী বর্ষণে পারিবন্দি হয়ে পড়েছেন টেকনাফ সদরের বাসিন্দা নুর কামাল। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ফলে ঘরের সব কিছু পানিতে তলিয়ে গেছে। সকাল থেকে শুধু মুড়ি খেয়ে দিন পার করছি। কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি। আমাদের আশপাশের ৩৫টি পরিবার রয়েছে। সবার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। মূলত খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি নামতে পারেনি। ফলে আমরা সবাই পানিবন্দি।’

টানা ভারী বর্ষণে টেকনাফে ডুবে গেছে দেড় হাজারের বেশি ঘরবাড়ি

হ্নীলা বাসিন্দা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিতে আমাদের অনেক গ্রাম তলিয়ে গেছে। এতে হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষের কষ্টের শেষ নেই। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে আগ থেকে কোনও সর্তক বার্তা দেওয়া হয়নি ভারী বৃষ্টির বিষয়ে।’

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভারী বর্ষণে আমার এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের ৫০০ ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এমনকি প্রধান সড়কে পানি উঠেছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

এদিকে টেকনাফ লেদ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘ভারী বৃষ্টিতে ক্যাম্পের অনেক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এতে নারী-শিশুদের বেশ কষ্ট হচ্ছে। যেসব রোহিঙ্গা ঘরে থাকতে পারছে না তাদের আমরা সহায়তা করছি।’

Source link

Related posts

টিকিট পেয়ে কেউ খুশি, কেউ ফিরেছেন খালি হাতে

News Desk

সিস্টেম লসের মূল্য ৩২০ কোটি টাকা

News Desk

বেড়েছে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি

News Desk

Leave a Comment