সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পৌর নাগরিকেরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জরুরি প্রয়োজনে বের হয়ে জলাবদ্ধতার কারণে চলাফেরায় ভীষণ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলেও পৌরসভার পক্ষ থেকে তেমন কোনও তৎপরতা লক্ষ করা যায়নি। এ নিয়ে নাগরিকেরা অনেকটাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় পৌর মেয়র জানান আপাতত কিছুই করার নেই।
সরেজমিনে শহরের পূর্ব পাইকপাড়া, কলাশ্রীপাড়া, ফুলবাড়িয়া, ট্যাংকেরপাড়, কালিবাড়ি মোড়, দাতিয়ারা ও কলেজপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে প্রতিটি রাস্তাঘাট ও অলিগলি। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনগুলো পরিষ্কার ও সংস্কার না করার কারণে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি বলে অভিযোগ নাগরিকদের।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অজয় পাল, বিশাল চক্রবর্তী এবং জুয়েল রানা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও সড়কপথ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে জরুরি কাজে বাসা থেকে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেকে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভার এমন দুরবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।’
কালীবাড়ী মোড় এলাকার জামাল, ফরিদ মিয়া বলেন, পৌরসভা কী কাজ করে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমরা নাগরিকেরা পৌরসভার ট্যাক্স সব সময়ই দিয়ে থাকি। কিন্তু সেবার দিক দিয়ে কিছুই পাচ্ছি না।’ এই জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রেনগুলো পরিষ্কার করার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র বেগম নারার কবীর জানান, ঈদ উপলক্ষে পৌরসভার বেশির ভাগ কর্মীরা ছুটিতে আছেন। আপাতত কিছুই করার নেই।
পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস জানান, ঈদের ছুটিতে তিনি তার গ্রামের বাড়িতে আছেন। সেখান থেকেই কর্মীদের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ কর্মী ছুটিতে থাকায় পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা কতটুকু বাস্তবায়ন হবে এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বাসিন্দাদের মনে।