রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে নোয়াখালীর ভাসানচরে যাচ্ছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনার। সোমবার সকালে ঢাকা থেকে রোহিঙ্গাদের নতুন আশ্রয়স্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন এই দুই কর্মকর্তা।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার পর জাতিসংঘের কোনো সংস্থার সদর দপ্তরের প্রতিনিধিদের এটাই প্রথম সফর।
এর আগে, রোববার ঢাকায় পৌঁছান দুই সহকারী হাইকমিশনার। বাংলাদেশে চার দিনের সফরে এসেছেন তারা। রাজধানী থেকে ভাসানচর হয়ে হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজার যাবেন তারা। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলাটিতে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
ওই দুই কর্মকর্তা হলেন ইউএনএইচসিআরের কার্যক্রম পরিচালনাবিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও এবং সুরক্ষাবিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস। সফরের সূচি অনুযায়ী, আগামীকাল ১ জুন দুপুরের পর জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দুই সহকারী হাইকমিশনার ঢাকায় ফিরবেন। পরের দিন তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, সফরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, দেশি–বিদেশি সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিসহ রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় যুক্ত অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করবেন দুই কর্মকর্তা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে জাতিসংঘের যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শরণার্থী সংস্থার দুই সহকারী হাইকমিশনারের এই বাংলাদেশ সফর।
ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮ হাজার ৪১৬ জন রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।
প্রথম দফায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন এবং ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়।