বগুড়ার আদমদীঘিতে অন্যের এমবিবিএস সনদ জালিয়াতি করে চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণার অপরাধে আবদুর রশিদ সরকার নামে একজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রূপম দাস তাকে এ সাজা দেন। আবদুর রশিদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়।
আদালত সূত্র জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে রূপম দাসের নেতৃত্বে দুপুরে আদমদীঘি উপজেলা সদরের আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো। কাগজপত্র তল্লাশি করলে আদালত জানতে পারে, আবদুর রশিদ সরকার একজন পল্লী চিকিৎসক। তিনি ১৯৯০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর লেখাপড়া ছেড়ে দেন। নামের মিল থানায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের এক মেডিকক্যাল কর্মকর্তার ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসার নামে প্রতারণা শুরু করেন।
নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন হিসেবে ২০০৫ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন তিনি। বর্তমানে কিছুদিন ধরে আল সাফি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগিদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
রূপম দাস জানান, গ্রেফতারের পর আবদুর রশিদ সরকার ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। পরে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।