ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর তিনটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সোমবার রাত ১২টার দিকে দেড়পাড়া, দরবারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বরইয়া ড্রাম ও নিলক্ষ্মী এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। পানির গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের স্থানও আরও বড় হতে থাকে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এর আগে সকালে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের উত্তর দৌলতপুরে সেকান্দর মাস্টার বাড়ির পাশে ভাঙন শুরু হয়েছিল।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আকতার হোসেন বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি আরও বাড়তে পারে। পানি কমলে বাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলো মেরামত করা হবে। এদিকে, মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে ফুলগাজী বাজার প্লাবিত হয়েছে। দােকানপাটে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পানি বাড়ছে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুতগতিতে পানি বাড়ছে। ডুবছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি, মাছের ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ ভাঙনের ফলে ১০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। ৫০০ পরিবারের জন্য শুকনা খাবার, পাঁচ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পানি কমলে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে আমার ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানি অব্যাহতভাবে প্রবেশ করতে থাকায় আশপাশের নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছে। বারবার বেড়িবাঁধ ভাঙনের ফলে ফুলগাজী, পরশুরাম উপজেলার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। আমাদের এ সমস্যা দেখার যেন কেউ নেই।